Description
টাঙ্গাইল শাড়ি | |
---|---|
উৎপত্তিস্থল | টাঙ্গাইল |
উপাদান | তুলা ও রেশম |
শৈলী | বাংলাদেশের ঐতিহ্য |
ব্যবহার | দৈনন্দিন এবং উৎসব |
ভৌগোলিক নির্দেশক মর্যাদা | নিবন্ধিত |
টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী হাতে বোনা শাড়ি। শতাব্দীপ্রাচীন এই শিল্পের উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশের টাঙ্গাইলে, যার নাম থেকেই শাড়ির নাম টাঙ্গাইল শাড়ি হয়েছে। টাঙ্গাইল শাড়ির সঙ্গেই এর নির্দিষ্ট ভূখণ্ড বা ভৌগোলিক অবস্থান যুক্ত।বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয় ২০২৪ খ্রিস্টাব্দের ৭ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী তাঁতের এই শাড়িকে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে ঘোষণা করে।
ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে ততকালীন বঙ্গের টাঙ্গাইলের তাঁতশিল্পের প্রসার ঘটে। সেখানকার “বসাক” সম্প্রদায়ের তাঁতিরা টাঙ্গাইল শাড়ি বুনতেন।টাঙ্গাইল শাড়ির এই তাঁতিরা ছিল ঐতিহ্যবাহী মসলিন তাঁতশিল্পীদের বংশধর। তাদের আদি নিবাস ছিল ঢাকা জেলার ধামরাই ও চৌহাট্টায়। তারা দেলদুয়ার, সন্তোষ ও ঘ্রিন্দা এলাকার জমিদারদের আমন্ত্রণে টাঙ্গাইল যায় এবং পরবর্তীতে সেখানে বসবাস শুরু করে। শুরুতে তারা নকশাবিহীন কাপড় তৈরী করত।
টাঙ্গাইল শাড়ি বুননের সাথে তাঁতি পরিবারের প্রতিটি সদস্য জড়িত থাকত। কোনও কারিগর বা শ্রমিক নিয়োগ করা হত না, যা ছিল বয়ন কৌশলকে তাঁতি পরিবারের বাইরে যেতে না দেওয়ার রীতি। বসাক পরিবারগুলি ছিল টাঙ্গাইলের শাড়ির অন্যতম তাঁতি পরিবার। বাংলার এই তাঁতিরা ছিল মূলত হিন্দু ধর্মাবলম্বী “বসাক” সম্প্রদায়। ১৯৪৭-এর বঙ্গভঙ্গের পরপরই, কিছু বসাক তাঁতি সম্প্রদায় পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ) থেকে পশ্চিমবঙ্গে অভিবাসন শুরু করে। অভিবাসনের প্রক্রিয়া ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে ভারত-পাক যুদ্ধে আরও তীব্র হয়, এবং ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছেছিল।
বর্তমানে টাঙ্গাইলে “বসাক” সম্প্রদায়ের তাঁতিদের সাথে মুসলিম তাঁতিরাও এই শাড়ি বুনেন।
Reviews
There are no reviews yet.